হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের সংস্কার ও তাঁর ফলাফল এবং আপনজনের সাথে চিরবৈরিতা ও বিষবাষ্পের নতুন যুগের আরম্ভ
নতুন হিন্দু
আইনের সুফল কুফল ও দীর্ঘ মেয়াদী বিভাজন কন্যা ভ্রুণ হত্যা আন্তীয়-স্বজনদের বিভাজন ক্রমে
ক্রমে হিন্দু সম্পত্তি হারানোর এক নতুন ব্লক
চেইন ও নানা দিক আলোচনা।
ঘটনাগেুলো
ঘটা ও তাঁর পটভূম নিরীক্ষণ করা তাঁর ভবিষ্যত ফলাফল এর ভয়াবহতার আঁচ করা
আমার নতুন
হিন্দু আইন এর বিচার বিচেনার জন্য ৩০/৪০ বছর পিছনের দিকে ফিরে যাব ও একটা পবিবার এর
গল্প আলোচনা করবে গল্পটি নিছক কল্পনা নয়. বাস্তব ও বর্তমান
বিদ্যমান ।
আমার দাদু
মানে পিতার বাবা যাহার ৩০/৫০ বছর পূর্বে মোট ভূমির সম্পত্তি ছিল ২৫/২৬ বিঘা যাহা ৪৬
শতাংতে ১ বিঘা বলা হয়। এবং তাঁর মোট সন্তান ছেলে ৪ জন ও মেয়ে ৪ জন মোট ৮ জন। তিনি তখনকার
প্রচলিত অবস্তা বিবিচনা করে তাঁর ৪ কনে বিবাহ
এর জন্য মোট ৯ বিঘা জমি বিক্রয় করে ৪ কনেকে
বিবাহ দেন কারণ বর পক্ষের পরিবার নগদ টাকা চায় তারা জমি চায় না। এবং ওই ৯ বিঘা জমি
ছিল একটা একটা জমি এক এক দাগে ১/১.৫ বিঘা করে।
অতপার তাঁহার ১ কন্যাকে বিবাহ দেয় ১০ বিঘা জমির অংশ দাবীদার এক ছেলের সাথে বাকি ৩ কন্যা
ও দেখা যায় ৩/৪/৫ বিঘা এমন পাত্র দেখে পাত্রস্ত করেন আমার দাদু এবং একটা পিসিদের
বিবাহ হয় মাদারীপুর, সাতক্ষীরা পাইকগাছা ফরিদপুর
যা আমাদের জেলা হইতে অনেক দূরে। আমার পিসেদের প্রত্যক এর আবার সন্তান-সন্ততি প্রায় ৩/৪ জন ছেলে এবং ১/২
টা করে মেয়ে । আমি খুব ছোট বেলা হইতেই দেখেছি পিসিরা আমাদের বাড়িতে বেড়াতে চাল ডাউল মুসুরি জামা কাপড় আর কত কি বস্তা ভরে ভরে নিয়ে গিয়েছ স্বামীর বাড়িতে
আমার বাবা কাকারা ও দিয়ে গিয়েছ ভালোবেসে ও ভালাবাসার বন্ধন এর কারনে এবং তাহাদে ভাগ্নে
ও ভাগ্নিরাও মামাদের কাছ হইতে জোর জবরদস্তি বলা যায় ভালোবাসার জোর জবরদস্তি করে গরু
ছাগল হাঁস মুরগী টাকা জামা পোশাক নিয়ে গিয়েছ। এখনো ভালাবাসার বন্ধন গুলো কত অটুট দেখলে
আমি শিহরিত হই যখন বাবা কাকাদের নিজের বোন ও ভাগ্নিদের এত আদর ভালোবাসা দেয় যা রীতিমতো আমারা কাকাতো ভাই বোনেরা হিংসা করি এই ভালোবাসার
বন্ধন গুলো দেখে এখনো আমাদের বাড়িতে কোন বিবাহ
বা অনুষ্ঠান হইল সমস্ত পিসি,জামাই ও পিসতুতো ভাইবোন কাকাতো ভাইবোন এর মিলবন্ধনে
এমন একটা অবস্থা তৈরি এই যে কে আপন বোন কে কাকাতে,পিসতুতো বোন তাঁহার কোন পার্থক্য থাকে না পুরো সবাইকেই হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতে মন চায়
যা আবেগ দিয়ে কল্পনা করলে স্বর্গের সুখ ও হার মেনে যায় ।
উল্লেখ যে
আমার সম্সত পিসতুতো ভাই ও বোনোর যথেষ্টে পরিশ্রম করে ও পিতার অংশের মালিকানা নিয়ে সম্পত্তি
ক্রয় করে অনেক সচ্ছল অবস্থায় আছে বলা যায় আমার
জামাইদের প্রত্যেক এর জায়গা-জমি প্রায় ৮/১০ বিঘার উপরে।
এইবার আসি
উক্ত আইন হলে কি হতে পারতো?
এইবার আসি
দাদুর ১ম মেয়ের ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে ,২য় মেয়ের ৩ ছেলে ১ মেয়ে ,৩য় মেয়ের ২ ছেলে ২ মেয়ে এবং ৪র্থ মেয়ের ২ টা ছেলে তাহলে তাদের
মোট সন্তান –সন্ততি দাড়ালো =৩+২+৩+১+২+২+২=১৫
জন এই ১৫ জন পাবে ৮ বিঘা সম্পত্তি যাদে প্রত্যেক এর বাস অনেক দূর –দূরান্তে এখন এই
ভাইবোনেরা তাদরে অংশ দাবীর জন্য আসলে আপনার
কি মনে হয় তাঁর মামাতোব ভাই-বোন ও মামাদরে সাথে সুসম্পর্ক থাকবে ? আদাও না যা ঘটার
তা হয়তো অনুমান করে ফেলেছেন. এর পরবর্তীতে দেখা যাবে তারা সকলে আমাদের এখানে এসে এইখানকার
স্থানীয় প্রভাবশালী মুসলিমদরে ধরে তাদের অংশটুকু
তিন সস্তায় মুসলিমদের কাছে বিক্র করে তাদের পিতার পরিবারে চলে যাবে শান্তনা
শুধু এইটুকু যে কিছু টাকা সাথে তারা নিয়ে যাবে এবং ভবিষ্যৎ এর তুষের আগুন জ্বালিয়ে
যাবে আপনজনের মায়া-মমতার আতুরঘরে। জমি গুলো খন্ড বিখন্ড হবে এবং খুব সহজেই অহিন্দুদের
দখলে চলে যাবে প্রতিমুহুর্তে । এইবার আসি উক্ত
ভাই/বোন পিতার অংশ+মায়ের অংশ নিয়ে পিতা-মাতা
মারা যাওয়ার পর শুকুন এর নজরে পড়বে আর ওরা এই সুযোগ এর অপেক্ষোয় থাকবে কিভাবে ফুসলিয়ে ধর্মান্তিরিক
করা যায়.
। আর পিসতুতো ভাইদের ও জমি ত্যাগ করতে হবে তার বোনেদের জন্য ঘটনা ঐ একই ঘটবে
বোন বিবাহের পর ভাইয়ের সাথে দন্ধের জের ধরে
অত্যাচারি অমুসলিমদের জমি বিক্রয় করে চলে যাবে যার ফরে দন্ধ-সংঘাত-বৈরিতা আর ভূমি হারানোর
চক্রা-কলে পড়ে দিন দিন হিন্দুরা অসহায় আর পঙ্গু হয়ে পড়বে যা আমাদের হাজার বছর ধরে চলা
সংস্কৃতি ধংসের নতুন যাত্রার সূচনা হবে। মেয়েরা পিতা+মাতার হতে প্রাপ্ত সম্পিত্তির
অধিকার এর কারনে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্বামীকে
অপমান অপদস্থ ও অত্যাচার করে একের পর এক স্বামী
পরিবর্তন এর শৃংখল গড়ে তুলবে এতে করে দেখা
যাবে ১ম স্বামীর ঘরে ২ টা সন্তান, ২য় স্বামীর ঘরে ৩টা সন্তান ,৩য় স্বামীর ঘরে ১/২ টা
সন্তান রেখে রঙ্গ তামাসা করে রুপের তেজ আর দম্ভ ফুরালে কোন এক নির্জন বিকাল গাছের তালায়
মরে পড়ে থাকবে যার জন্য বিন্দু মাত্র মায়া-মমতাহীন থাকবে না কোন সন্তান এর. এই অংশে
এসে আমার একজন শ্রদ্ধেয় রামবাবু স্যারের কথা মনে পড়ে গেল গল্পটি এমন যে, “ আমার গুলো তোমার গুলো আমাদের গুলোরে মারতেছে” আমি স্যারের কাছে বিস্তারিত শুনতে চাইলে বললো
যে এক মুসলিম মেয়ে যাহার আগের বিবাহ এর পক্ষের
২/৩ টা সন্তান এবং তাঁর বর্তমান স্বামীর আগের বিবাহের স্বামীর ৩/৪ টা সন্তান মিলে বর্তমান তাদের দুই জনের
যে মিলিত সন্তান আছে । তা তাদের আগের পক্ষর স্ত্রীর ২/৩ জন ও স্বামীর ৩/৪ জন একজোট
হয়ে তাঁদের বর্তমান সন্তানদের পিটাচ্ছে . আর ঠিক এইরকমই চায় আমাদের বধীর বৃক্ষ জ্ঞানী
বুদ্ধিজীবি গুলো । ঠিক যেন বৃট্রিশদেরম মত বাংলার হিন্দুদের ও ডিভাইডেড এবং রুল এর
যাঁতাকরে ফেলে পৃষ্ঠ করে নিচন্হ করতে চায় সনাতন
সমাজ ব্যাবস্থাকে
এ্ইবার আসি
আমার পিতা, কাকা ও জ্যাঠাদের সন্তান-সন্ততি নিয়ে আলোচনা
আমার দাদুর
১ম সন্তান এর ১ ছেলে ১ মেয়ে ২য় সন্তান এর ১ ছেলে ১ মেয়ে ৩য় সন্তান এর ২ ছেল ১ মেয়ে
৪র্থ সন্তার এর ২ দুই ছেলে ২ মেয়ে তাহলে মোট
সম্পতি হইতে যা বর্তমান ৮ বিঘা ভাগ হবে ১১ ভাগ যাহার ৫ ভাগ মেয়েরা অংশীদার .
আমার বড় জ্যাঠা
তাঁহার মেয়েকে লেখাপড়া করিয়ে পিতার অনুশাসনে থেকে বড় হয়েছে ফলসরুপ জ্যাঠা তাহার গাছ
গুরু ও গচ্চিত সম্পদ দিয়ে ১০ বিঘা সম্পত্তির অংশদারী এক ছেলের সাতে বিবাহ দিয়েছ ২য় জ্যাঠার ও সেম অবস্তা কিন্ত ঘটনা ঘটে আমার বোনের বিবাহ এর ক্ষেত্রে .
রীতিমতো তাহার লেখাপড় শিখায়ে বুঝিয়ে ও ভালোবাস দিয়ে বড় করতেছিলাম অনেক স্বপ্ন নিয়ে
আশা ছিল বোনকে ভালা পাত্রস্ত করতে যদি আমার পিতার অর্ধেক জমিও বিক্রয় করতে হয় তা করে
দিব । কিন্ত বিধি বাম একি হল সে একটা ছেলের
সাথে প্রেম করে বসলো ।ছেলেটা এতই দরিদ্র যে তাহার ঘরটুকু ছাড়া আর কিছু নাই ঘরের চুলা
জ্বলে না রীতিমতো গাঁজাখোর এবং তাহার সমবয়স্ক বলা যায় ক্লাস ৭/৮ তে যত বয়স আর যেমন
আবেগ হয় ঠিক তাই । আমার বোন তাহার হাত ধরে চলে গেল প্রায় ১ বছর পর আসলো লুকিয়ে থাকার
পর ১ টা সন্তান নিয়ে এখন আপনারই বলেন তাহার কি অর্ধেক সম্পত্তি দেওয়া চলে . এখন বুদ্ধিজীবীরা
বলবে হ্যাঁ তারপরও দিতে হবে. তাই দিয়ে দিলাম আমার পাওয়া ২ বিঘা জমি হইতে তাঁর ১ বিঘা
বাকি আমার থাকলো ১ বিঘা. আপনি ভাবছেন ওই জমি দিয়ে তাঁরা উন্নতি করবে না তা মোটেও না
কারণ বাংলায়
একটা প্রবাদ আছে যে বিড়ালে মাছ ধরে তাঁর গোঁফ দেখলে চেনা যায়
কারণ ওই একটাই
ওই যে বলেছিলাম ছেলে নেশাখোর সে প্রাপ্ত জমি অচিরেই কোন এক মুসলিম এর কাছে অল্প দামে বিক্রয় করে দিবে
নেশা করার জন্য আর ও কিছুদিন বাদে আমার বোনকেও তাড়িয়ে দিবে. আমার বোন ইতিমধ্যে তাঁহার শেষ আশ্রয়টুকু শেষ করে দিয়েছ ফলশ্রুতিতি
তাঁহার দুইটা পথ খোলা ১ হয় তাঁহার সন্তান নিয়ে যন্ত্রনাময় মৃত্যু অথবা পথের ভাসমান
যৌনকর্মী যা আমার আমাদের পাশেই বসবাসরত অহিন্দুদের নিয়মতই দেখতে পায় তাঁর পরও আমরা
চোখ বন্ধ করে উঠ পাখির মতো বালির ভিতরে মাথা গুজে দিয়ে বসে থাকি আর বাকি ভাইবোন গুলোর
ভিতরে জমি –সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে ঘরের সাথের অংশের জমি জ্যাঠাতো বোন তার অংশ
এক মুসলিম এর কাছে বিক্রয় কর গেছে এর পরে ফলাফল কি হতে পারে তা আর বলা লাগবে না.
এইবার আসি এই আইন পাশ হলে আর কি হতে পারে
পিতা মাতা
চিন্তা করবে তাদের দুইটা তিনটা ছেলে হলে একে অপরের পাশে বিপদে আপাদে দাড়াবে আরে মেয়ে হলে
জমি নিয়ে চলে যাবে সুতরাং যা হবার তাই কন্যা ভ্রণ হত্যা অনেক বেড়ে যাব্ প্রতিদিন এই সমান্য চিন্তাটুকুর কারনে হাজার হাজার
কন্যা ভ্রণ হত্যা হবে যা পাশের দেশে ভারত তথা কোলকাতার দিকে তাকালে দেখতে পায় এবং এও দেখতে পায় যে এশিয়া মহাদেশ এর সবচেয় বড় পতিতালয়
সোনাগাছি পতিতালয় শুধু মাত্র এমন জখন্য আইন
তৈরি হওয়ার কারনে
এখন আসি আমার
মায়ের জমির অংশ ও মামাদের সাথে ভাগাভাগি
আমার মায়ের
বিবাহ এর সময়ে বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে আমার দাদু ১ বিঘা জমি বিক্রয় করে সেই টাকা
আমার পিতার অবিভাবকদের দেন উল্লেখ্য বাংলাদেশে তাহার মোট জমি ছিল প্রায় ১৮ বিঘা আর ইন্ডিয়াতে করত পেরেছ মাত্র ২ বিঘা জমি
. এখন আমার মামারা কলকাতাতে সেই খানে দাদুর মোট ২ বিঘা জমির ভিতরে আমার মাসি ও দুই
মামার অংশীদারী হিসাবে আমার মাতা পায় ১০ কাঠা জমি. কিন্ত আমার মামারা দিবে না অথচ আমার
দিদিমার পাওণা অংশের জমির আনার জন্য তাহাকে চাপ প্রয়োগ করতেছে এবং তাহার গায়ে হাত তুলে
বাড়ি হইতে বাহরি করিয়া দিয়েছ. আর আমি ও আমার বোন মিলে যদি আমার মায়ের অংশ আনতে যায়
তাহলে আমার মামা ও মামাতো ভাইবোনদের সাথে চিরজীবন এর অহিনকুল সম্পর্ক গড়ে উঠবে যা আমি
কখনোওই চায় না.
তাছাড়া এই
ঘটনা গুলো নৈমিত্তিক ঘটবে উক্ত আইন পাশ হইলে
উক্ত আইনের
একটা হাস্যকর যুক্তি হল ছেলেমেয়ে ধর্মান্তিরিত হল সম্পতির অধিকার হারাবে । কথাটা হাস্যকর
ও যুক্তিহীন কেননা যে বা যাহারা আপনার বোন বা আমার বোনকে জোর জবরদস্তি করে প্রেমের
ফাঁদে ফেলে আপনার গলাদ দা-বটি আপনার বোনকে বিবাহ করে ধর্মান্তিরি করবে সে সহজেই তাঁর
জমির অংশ ছেড়ে দিবে কিভাবে ভাবে ভাবলে . হিন্দু জমির উপর অহিন্দুদের কোন অংশীদ্বারিত্ব
নাই তাই বাংলাদেশের আনাচে কানাচে হিন্দুদের জমি জোর করে দখল করে নিতেছ অমুসলিমরা যা
সরকার দেখেও না দেখার ভান করে মুখে কুলুপ এঁটে থাকে
আসলে ছোট
বেলায় একটা লেজ কাটা শিয়ালে গল্প পড়েছিলাম আর আজ তাহার বাস্তব রূপ দিতে বিধর্মীরা উঠেপড়ে
লেগেছে.
তাছাড়া বাংলাদেশের প্রোক্ষাপটে এই আইন শুধু সনাতনীদের ক্ষতির কারই হবে তখন ওই সব বেদ জ্ঞান কোন কাজে আসবে না এখন কারণ বণ পুড়িলে দেবালয় রক্ষা পায় না . তাছাড়[ শ্রীকৃষ্ঞ স্বংয় বলেছেন সংকটকালীন সময়ে ধর্মা রক্ষার জন্য যে সামান্য অধর্মটুকু করা হয় তাহাকে আপদকালীন ধর্ম বলে . সুতরাং এমন আইন পাশ হলে ভবিষ্যেতে এক ভয়াভহ ভুল হবে হিন্দু জাতি নিশ্চন্হ হওয়ার এক নতুন আলোর ফাঁদ তৈরি এর মাধ্যমে। আমার আমাদের উপর চলমান লুন্ঠন এর আইনী স্বকৃতি দিয়ে আমাদের উপর চলমান লুন্ঠনকে আরও বেগবান না করি
এতক্ষণ আমরা দেখলাম উক্ত
আইন পাশ হলে কি কি হইত.
আর এমন আইন পাশ না হওয়ার
কারনে কি কি ঘটেছে তা দেখব
উক্ত আইনের ফলে আমার
সম্পত্তি বা জমির অংশ হইত ১ বিঘা যা এখন বর্তমান ৫ বিঘাতে আছে অনুরূপ আমার সকল কাকাতো
ভাইদেরও সেইম অবস্তা আমার সকল বোনদের যথেষ্ট উচ্চবিত্ত পরিবারে বিবাহ দিয়েছি তাহারা
ঈশ্বেরের কৃপায় অনেক ভালো আছে
আমার বোনদের কাউকে আন্তহত্যা
বা পতিতাবৃত্তির মতো কোন পেশা বেছে নিতে হয় নাই তাহাদের সাথে আন্তার এক মিলবন্ধন তৈরি
হয়ে আমারা সকল মামাতো ,কাকাতো,পিমতুতো ভাইবোনেরা মিলে বিশাল এক আন্তয়ীতার মেল বন্ধন
তৈরি করে একে অপরের বিপদে আপাদে সাহায্য করে আনন্দে দিন কাটাতে পারি.
আমি এখন এখটা সরকারি
চাকরি করেতে পেরেছি ও ভালোভাবে লেখাপড়া করতে পেরেছি আমার পিতার ৫ বিঘা জমি থাকার কারনে আর উক্ত আইনের ফলে ১ বিঘা
জমি হলে হয়তো আজ কামলা খাটতে হইতে খেত খামারে
আর বাকি ৪ বিঘা জমিতে মুসলিমরা বসবাস করতো আমার ঘরের সাথে ঘর করে সাথে ২/১ টুকরা গরুর
হাড় ছুড়ে মারতো বাড়ির দিকে তাক করে
উল্লেখ্য আরে একটা গুরুত্বপূর্ণ
আলোচনা বাদ রেখেছে তা হল পিতামাতার ভরণপোষন এর দ্বায়িত্ব এর ব্যাপারে. জমি যেহেতু সমান
দুই ভাগ হবে সেহেতু ভাই-বোন দুই জনকেই সমান ভরণপোষন নিতে হবে . এখন আমার বোনের বিবাহ হয়েছে খুলনা জেলার পাইকগাছাতে আর আমার বাসা ঝিনাইদহ জেলাতে।
আমার বোন আমার মাতার দ্বায়িক্ত নিতে রাজি হয়েছ পক্ষান্তেরে আমার স্ত্রী তাহার মাতার দ্বায়িত্ব নিতে রাজি হল
এত দেখা যায় বাড়িতে তাহলে আমার পিতা ও আমার শাশুড়ী থাকলো এখন তাহলে তারা দীর্ঘদিন কিভাবে
বসবাস করবে তাদের দুই জনকে তো এক ঘরে রাখা উচৎ দেখাবে না এই দিকে আধুনিক হিন্দুরা আবার
একক পরিবার ভেঙ্গে ক্ষুদ্র পরিবার গঠন করাতে ঘরের সংকুলান হবে . আবার অনুরুপ এক পরিবারে
আমার পিতা ও আমার শুশুর অবস্তান করবে বা শুধু
মাত্র আমার মাতা ও আমার শাশুড়ী অবস্থান করবে তাছাড়া আমার স্ত্রী ও আমার বোনের ভিতর এক তুমুল ঝগড়া বাঁধবে পিতা-মাতা/শুশুর-শাশুড়ীদের
দ্বায়িত্ব ও ভরনপোষন নিয়ে কেননা যে উপার্যন বা কর্মক্ষম থাকবে তাকেই নিতে চাইবে বোন
অথবা স্ত্রী যা বাংলাদেশের প্রতি ঘরে ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলবে
আরও একটা ব্যাপার ছেলে
মেয়েদের বহুবিবাহ বেড়ে যাবে কেননা
আমি এখন সরকারি কামলা
যেহেতু আমি বিবাহের জন্য অনেক বেশি মেয়ে পাব এখন যদি ৫ টা মেয়ে বিবাহ করি তাহলে অনেক সম্পত্তি পাব । লাভ
জিহাদ পরকীয়া স্বামী হত্রা স্ত্রী হত্যা সন্তান হত্যার মত জঘন্য কাজে
লিপ্ত হতে থাকবে আর কালের পরিক্রামায় হিন্দুরা নিজেরা নিজেরা সংর্ঘ্ষ করতে করতে ইতিহাসের পাঁতায় লুপ্ত বা হারিয়ে যাওয়ার নতুন এক অধ্যায় যুক্ত হবে।
ছোট বেলায় একটা গল্পে পড়েছিলাম গল্পটার নাম হল
ডিভাইডেড ইন দ্যা মানকি
ব্রেড
গল্পটার মেসেজ এই যে
২ টা ইঁদুর ১ টা রুটি পেয়েছ এই রুটি নিয়ে দুইজন ঝগড়া
করতে করতে কোন উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত একটা বানরের কাছে নিয়ে
গিয়েছ রুটি দুইজনে সমান ভাগ করতে আর তখন বানর এই সুযোগটিকেই কাজে লাগায় রুটি দুইভাগ
করে দুই দাড়ি-পাল্লায় তুলে দেয় এক টুকরা বড় আর এক টুকরা ছোট করে . যে টুকরা বড় হয় সেই
টুকরা থেকে কিছু অংশ খেয়ে ছোট অংশ রুটিকে বড় অংশে পরিণত করে আবার মাপ দেয় আবার খাই
এইভাবে সার্কেল আকারে চলতে থাকে আর ইঁদুর দুটি
চেয়ে চেয়ে দেখতে থাকে শেষ পর্যন্ত রুটি শেষ হয়ে যায় আর ইদুর দুটি অভুক্ত থেকে যায় কারন
ওই রুটি ভাগের দ্বায়িত্ব দিয়েছিলো বড় শক্তিশালী বানরের হাতে যার সাথে তাদের শক্তি দিয়ে পারার সার্মথ্য ছিল না
তাছাড়া বানরটি তাহার লজিক্যাল সার্কের তৈরি করে ইঁদুর ২টা কে বোকা বানা সক্ষম ছিল।
আর ওরা নিজেরা দুই জনে কম্প্রমাইজ করতে পারে নাই তাই দুইজনের ওই করুন অবস্থা হয়ছিলো
আজ আমাদের হিন্দুদের
ও একই অবস্থার হয়েছ নিজেরর নিজেরা সামন্য ত্যাগ স্বীকার করতে পারি না অথচ আমাদের সমস্ত
অধিকার সমস্ত সম্পদ সমস্ত স্বাধীনতা বানররূপী
শক্তির হাতে সোপার্দ করতে পিছপা হইতেছি না
বরং আমাদের উপর চলমান
লুন্ডন এর আইনী স্বকৃতী দিয়ে তা আরও বেগবান করতে আমরা প্রস্তুত
যেমনটা ঘটেছে চট্টগ্রাম
এর প্রবর্তক মন্দির নিয়ে
বলতেছিলাম কনেকে অর্ধেক
জমি দেওয়ার ব্যাপারে । আসলে আমার পিতার সম্পত্তির অর্ধেক আমর বোনকে আমি অবশ্যই দিতে
চাই । সেই ব্যাপারে আমার আইনের দ্বারস্ত হইতে
হবে ? আমার পিতা যদি আমার বোনকে নতুন আইন পাশ ছাড়াই যদি অর্ধেক জমি লিখে দেয় বা দান
করে দেয় তাতে আমার সামার্থ আছে কি ঠেকানোর ?
সনাতন ধর্ম মতে মেয়েরা পিতার বাড়ি হইত পিতার প্রায় অর্ধেক স্থাপর সম্পত্তির সমপরিমাণ অস্থাবর সম্পত্তি পায় এছাড়ও মায়ের পিতার বাড়ি হইতে আনা অস্থাবর সম্পিত্তির উপর সম্পূর্ণ অধিকার শুধু মাত্র মেয়েদের যেখানে ছেলেদের কোন অধিকার নাই এছাড়া শুশুরালয়ের সম্পূর্ণ স্থাবর সম্পত্তির উপর একছত্র অধিকার তাহলে মেয়েদের এর পরও কেন আবার পিতার স্থাবর সম্পত্তি হইতে আবার দেওয়া লাগবে?
আমার বোনের কেন সম্পত্তি লাগবে ?
আমার পিতা-মাতা কি অবুঝ
দুধের বালক যে তাদের সেই হিসাব নাই তারা দুঃখ আর জঞ্জাল এর ভেতর তাহাদের মেয়েকে ফেলে
দিবে. আদেও তা করবে না কোন পিতা-মাতাই। হিন্দু তথা সনাতন সমাজে ১টা মেয়ের বিয়ে হইতে
অনেক দীর্ঘ সময় নিয়ে দুই পক্ষের দেখা-দেখি দুই পরিবারের পাস্পরিক মতামত যাচাই-বাছাই
শেষে বর ও কনের মতামত নিয়ে দুই পরিবারের কয়েকশত নিকট আপনজনদের সাথে নিয়ে বিরাট আয়োজন
করে ৭ পাক চন্দ্র সূর্য আগুন প্রভৃতি স্বাক্ষী
রেখে পিতার গোত্র পর্যন্ত পরিবর্তন করে শুশুরের বউমা নয় নবাগত শুশুর এর গোত্র গ্রহণ
করে ওই পরিবার এর মেয়ে রুপে সে পদার্পন করে । আর এই এত কিছুর পরও যদি আমার বোনের নিরাপত্তার
জন্য সম্পদ দিতে হয় তাহলে আসলে তা সমাজে নতুন রূপে প্রতিয়মান হওয়া এক জলন্ত অহিনকুল
সম্পর্ক তৈরি করেবে সনাতন সমাজের ঘরে ঘরে।
আমরা অবশ্যই মানতে রাজি আমার বোনের অর্ধে ক সম্পত্তি যদি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নিচে উল্লেখিত আইন গুলো পাশ হয়।
১. সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন করতে হবে
২.হিন্দু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে
৩.সরকারী চাকুরিতে ২০% কোটার ব্যাবস্থা করতে হবে
৪. হিন্দু শাস্ত্রীয় পারিবারিক আইন কোন পরিবর্তন চলবে না
৫.জাতীয় সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসনের ব্যাবস্থা করতে হবে
৬.দূর্গা পূজায় ৩ দিন ও রথযাত্রায় ১ দিনের সরকারি ছুটির ঘোষণা করতে হবে
৭.হিন্দু সম্প্রাদায়ের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় হিন্দু বিষয়ক কমিশন গঠন করতে হবে
যদি উক্ত আইন গুলো বাংলাদেশে পাশ হয় তাহলে আমি অবশ্যই নতুন আইনের সমর্থন করবো
divide and rule policy All Hindu Community
No comments